
ফরজ ইবাদত ছাড়াও বেশি বেশি নফল ইবাদতের চেষ্টা করব। প্রিয় নবীজি সদা-সর্বদা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েছেন। আমরাও তাহাজ্জুদ আদায়ের চেষ্ট করব। এ সময় দোয়া কবুল হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
আমাদের সময়ের একটি অংশ কোরআন তেলাওয়াতের জন্য রাখব। কোরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি ধর্মীয় বই-পুস্তক পড়া। আলেমের পরামর্শক্রমে বই-পুস্তক নির্বাচন করা। আপনার পড়ার টেবিলে অবশ্যই কোরআনের তাফসির, হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ, দীনি-মাসয়ালা-মাসায়েলের বই-পুস্তক, নবীচরিত ও ইসলামের ইতিহাস থাকা চাই। এ গ্রন্থগুলো অধ্যয়নের কারণে আপনার মধ্যে দীনি চেতনা উদ্বুদ্ধ হবে। এ চেতনাবোঁধের সঙ্গে যে �আমল� করা হবে তা শক্তিশালী হবে। আমলের জগতে এক বিপ্লব সৃষ্টি হবে। অনুভূতি না থাকার দরুন মানুষ মনের অজান্তে গোমরাহি ও পথভ্রষ্টতায় অতি তাড়াতাড়ি নিমজ্জিত হয়ে যায়। এ মুহূর্তে পৃথিবীজুড়ে ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এ মিথ্যা প্রোপাগান্ডার সফল মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন জাগ্রত অনুভূতি। দৈনিক যদি ১ ঘণ্টা ধর্মীয় বই-পুস্তক অধ্যয়ন করি তাহলে কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা ফিরে আসবে। একটু ভেবে দেখুন, আমরা পত্রপত্রিকায় দৈনিক কত ঘণ্টা ব্যয় করি। কিছু লোক পত্রিকার প্রতিটি শব্দ না পড়ে ছাড়তে চান না। অবশ্য পত্রিকা পাঠ করা কোনো খারাপ কাজ নয়। আজকের এ মিডিয়ার যুগে পত্রপত্রিকা নিয়মিত পাঠ করা অপরিহার্য। কিন্তু আমরা খবরের কাগজে যতটুকু সময় দিই এতটুকু সময় কি ধর্মীয় বই-পুস্তক পড়ার মধ্যে ব্যয় করতে পারি না? আমাদের সময়ের একটি অংশ স্ত্রী, সন্তানের লালন-পালনে ব্যয় করা উচিত। যে মানুষ আমাদের অধীনে থাকে তাদের শুধু ভরণপোষণই জরুরি নয়, বরং তাদের শিক্ষাদীক্ষা, আদব-শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়াও কর্তব্য। এ বিষয়ে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। আল্লাহতায়ালা এ নববর্ষকে আমাদের সবার জন্য কল্যাণময় ও অনাবিল সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি করুন।